Update News

বাংলাদেশ কোটা আন্দোলনের সর্বশেষ খবর | বাংলাদেশ কোটা সংস্কার আন্দোলন

বাংলাদেশ কোটা আন্দোলনের সর্বশেষ খবর | বাংলাদেশ কোটা সংস্কার আন্দোলন

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন বর্তমান সময়ের সারা বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হলেও আতঙ্কিত পুরো দেশ । উক্ত আন্দোলনে ছাত্ররা একত্রিত হলে বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছে ছাত্র এবং পুলিশের সংঘর্ষ, এতে প্রাণ হারিয়েছে দুই পক্ষই । জানা গেছে সারাদেশে প্রায় এক হাজার ছাত্র এই আন্দোলনে মৃত্যুবরণ করেছে । এমন অবস্থায় বিভিন্ন দেশ এই পরিস্থিতির কঠোর নিন্দা জানিয়েছে।

বাংলাদেশ কোটা আন্দোলনের সর্বশেষ

কোটা আন্দোলনের কারণ কি?

বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের অন্যতম জনবহুল দেশ । ফলে চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিটি ছাত্রকে ব্যাপক কষ্ট করতে হয় । এর উপর কোটা পদ্ধতি অনেক মেধাবী ছাত্রকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাধাগ্রস্ত করে । এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে একই আন্দোলন হলেও কোন কাজে আসেনি। তবে এবার ছাত্ররা নিজেদের দাবি আদায় করতে সক্ষম হলেও ঘটেছে অনেক প্রাণহানি ।

বাংলাদেশের কিছু প্রতিবেশী দেশের ছাত্ররাও রাজপথে নেমেছিল নিজ নিজ জায়গা থেকে সমর্থন করতে । ছাত্রদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে দেশের সর্বস্তরের মানুষ । সকলের সহযোগিতায় ছাত্ররা বিজয় লাভ করলেও যেন থামছেই না সন্তান হারানো বাবা মায়ের আর্তনাদ।
তবে মৃত ছাত্রের পরিবারকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছে প্রবাসী বাঙালিরা এবং বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান । ছাত্রদের উপরে পুলিশের নির্বিচারে গুলি করা যেন আরো একবার মনে করিয়ে দিল পাকিস্তানি হানাদারদের কথা । স্বাধীন হয়েও এ বাংলা কি আসলেই স্বাধীন? নাকি এখনো ঢাকা পড়ে আছে পরাধীনতার চাদরে?

বাংলাদেশ কোটা আন্দোলনের সর্বশেষ

কোটা আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ?

বাংলাদেশ সরকার প্রধান এই পরিস্থিতির ব্যাপক নিন্দা জানালেও এখনো পর্যন্ত ছাত্রদের পক্ষে কোন কথা বলেননি । এই নিয়ে টানা চারবার ক্ষমতায় থাকা দলটি যেন ছাত্রদের প্রধান শত্রু। বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে ছাত্রদের সামান্য আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালানো মোটেও ঠিক করেননি দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী। ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ সুতরাং ছাত্রদের সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণের মাধ্যমেও সমাধান করা যেত বিষয়টি ।

সরকার প্রধান বলেছেন, “স্বজন হারানোর বেদনা তিনি অনেক ভালোভাবে বুঝেন”। কিন্তু তারপরেও হাজার মায়ের বুক খালি করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি । তার এমন সিদ্ধান্তে নিন্দা জানিয়েছেন সারা দেশের সর্বস্তরের মানুষ । কিছু ক্ষেত্রে সরকার প্রধানের পদত্যাগের দাবিও তুলেন জনগণ । তবে শেষ অব্দি সরকার ছাত্রদের দাবি মেনে নিলে বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা  ঠান্ডা ।

কোটা আন্দোলন কবে শেষ হতে পারে?

আন্দোলন এখানেই শেষ কিনা তা বোঝার কোন উপায় নেই কারণ সরকার এখনো ছাত্রদের ৯ দফা দাবি মেনে নেয়নি । ছাত্ররা কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে তার দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখলেই বুঝতে পারা যায় । ১৯৫২ সালের ছাত্রদের আন্দোলনেই দেশের ভাষা উর্ধু থেকে বাংলাদেশ পরিণত হয়, একইভাবে ১৯৭১ সালের সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি ছাত্রদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ বয়ে এনেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

একইভাবে আবারও ছাত্র সমাজ রাজপথে নেমেছে । ৯ দফা দাবি মেনে না নিলে হয়ে যেতে পারে আরো একটি মুক্তিযুদ্ধ । এরই মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের থেকে জানা গেছে যেহেতু তারা তাদের অনেক ভাইকে পুলিশের গুলিতে চোখের সামনে মৃত্যুবরণ করতে দেখেছে তাই তারা ৯ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেনা । তারা আরো বলেছে খুব  শীঘ্রই তাদের  নতুন আন্দোলন সূচি প্রকাশিত হবে ।

কোটা আন্দোলনের বর্তমান পরিস্থিতি কি?

বর্তমানে আন্দোলনকারী ছাত্রদের পাশাপাশি সরকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদেরকে আটক করা হচ্ছে । কারণ ছাত্রদের আন্দোলনে তারাও সহযোগিতা করেছে । দেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এর কঠোর নিন্দা জানিয়ে সারা দেশে হরতাল ডেকেছে। কারণ নির্বিকারের দল গুলোর প্রধান নেতাদেরকে আটক করার কারণে দলগুলো ক্রমশই হয়ে পড়ছে দুর্বল। যদিও আন্দোলনের সময় বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগানো এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের অভিযোগ হিসেবে তাদের আটক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ।

কোটা আন্দোলনের সরকার কি ঘোষণা দিয়েছে?

সরকার প্রধান শেখ হাসিনা জানিয়েছেন তিনি চান না এরকম আন্দোলন আর হোক যার ফলে ছাত্ররা জীবন হারাবে । ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়েছেন এবং ছাত্ররা তার বক্তব্য না বুঝেই নিজেদেরকে রাজাকার বলে দাবি করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন চাকরির ক্ষেত্রে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের সন্তানেরা বেশি প্রাধান্য পাবে। রাজাকারের সন্তানেরা নয়। উক্ত মন্তব্য শোনার পর ছাত্ররা নিজেদেরকে রাজাকার বলে দাবি করেছে ।

এবং সরকার প্রধান তাদেরকে রাজাকার বলেছে এটা সর্বস্তরের ছাত্ররা মেনে নিতে পারেনি। যদিও সরকার প্রধান শেখ হাসিনা কথাটি অন্য পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

কোটা আন্দোলনের নয় দফা দাবি গুলো কি কি?

এরপরে ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে ছাত্ররা নয় দফা দাবি প্রদান করেন । নিম্নোক্ত ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রসমাজের আন্দোলন চলমান থাকবে :

১। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

২। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসী কৃতক ছাত্র হত্যার দায়ী নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আইন মন্ত্রী আনিসুল হক -কে মন্ত্রীপরিষদ এবং দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে।

৩। ঢাকাসহ যত জায়গায় শহীদ হয়েছে সেখানকার ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।

৪। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টরদের পদত্যাগ করতে হবে।

৫। যে পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করেছে, ছাত্রলীগ -যুবলীগ সহ যে সকল সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর নিশংস হামলা পরিচালনা করেছে এবং পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে তাদেরকে আটক করে এবং হত্যা মামলায় দায়ের করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।

৬। দেশব্যাপী যে সকল শিক্ষার্থী ও নাগরিক শহীদ ও আহত হয়েছে তাদের পরিবারকে সকল ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।

৭। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়(জাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি)ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়(রাবি) সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ নামক সন্ত্রাসী সংগঠনসহ সকল দলীয় লেজুরভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ছাত্রসংসদকে কার্যকর করতে হবে।

৮। অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হলসমূহ খুলে দিতে হবে।

৯। কোটা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের একাডেমির ও প্রশাসনিক কোন ধরনের হয়রানি করা হবেনা মর্মে অঙ্গীকার করতে হবে।

বাংলাদেশ কোটা আন্দোলনের

কোটা আন্দোলনের শেষ সপ্তাহের পরিস্থিতি কি?

প্রায় সাত দিন দেশের ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় দেশের অনেক খবর পাওয়া যায়নি । ইন্টারনেট থাকলে সকল হত্যাকাণ্ডের ছবি এবং ভিডিও হয়তো সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে পাওয়া যেত । এর ফলে দেশের চলমান আন্দোলন আরো প্রকট রূপ ধারণ করতো । “হত্যাকাণ্ডের সংবাদ আড়াল করতেই সরকার দেশের ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে” বলে জানিয়েছেন দেশের অনেক জনগণ । পরবর্তীতে জানা যায় দেশের ইন্টারনেট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান আগুন লাগার কারণেই সারা দেশের ইন্টারনেট বন্ধ ছিল । ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে গুজব রূপে । যার ফলে চলমান পরিস্থিত কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হয় ।

চলমান আন্দোলনে দেশের কি কি ক্ষতি হয়েছে?

১. দেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন মাধ্যম বিটিভি (বিটিভি) এর প্রধান ভবনে আগুন দেয়া হয়েছে ।

২. মেট্রোরেলের টার্মিনাল ভাঙচুরসহ বিভিন্ন সরকারি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে ।

৪. প্রধান সড়কের আশেপাশের বড় বড় ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
৫. দেশের জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় বাসার বাহিরে বের না হতে পারায় বিভিন্ন টোল প্লাজা গুলোতে আয়ের পরিমাণ কমে গিয়েছে।
৬. দেশের বড় বড় সেতু গুলোর টোল প্লাজাটাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে ।
৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটছে ।
৮. চলমান উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে ।
৯. ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে । ( বর্তমানে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও মোটেও কার্যকর নয় )
১০. নির্বিচারে শিক্ষার্থীদের হত্যা করা হলে দেশের শিক্ষাঙ্গন আতঙ্কে জর্জরিত ।

আরো পড়ুন:

তবে কি আসলেই মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছে?

শিক্ষার্থীরা তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পেতেই এই আন্দোলন করেছে, এখানে এরকম হতাহতের ঘটনা আসলেই দুঃখজনক । বাংলাদেশের বুকে এরকম কালো অধ্যায় আর না নেমে আসুক এটাই আমাদের কাম্য । সরকার এবং ছাত্রদের মধ্যে বন্ধুত্বসুলভ আচরণের মাধ্যমেই দেশের শিক্ষা এবং উন্নয়ন দুটি সম্ভব । আর কোন আন্দোলনকারীর রক্ত ঝরলে পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ, সবকিছু বিবেচনা করে সরকারের ছাত্রদের পক্ষেই রায় দেয়া উচিত ।

মুক্তিযোদ্ধারা অবশ্যই সম্মান পাবার পাত্র, কোনো ভাবেই তাদেরকে অসম্মান করার কোন সুযোগ নেই। তাদের জন্যই স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ এ কারণে তাদের সম্মান পাওয়াটা তাদের অধিকার। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরকে চাকরি দেওয়ার মাধ্যমটা তাদেরকে সম্মান দেওয়ার একমাত্র উপায় নয় । আদর্শবান মুক্তিযোদ্ধা তখনই কোটার পক্ষে হতে পারে না । দেশ স্বাধীনের জন্য যারা নিজেদের সর্বত্তটুকু উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন আজ তারাই কোটার জন্য অন্য মায়ের বুক খালি হতে দেখেও কোন কিছু বলছেন না । এটা কখনোই মুক্তিযোদ্ধার মনোভাবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয় ।

বর্তমান কোটা আন্দোলনে কিছু মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিপক্ষে হলেও বেশিরভাগ জীবিত মুক্তিযোদ্ধা এ বিষয় নিয়ে কোন কথা বলেননি। যদি মুক্তিযোদ্ধারা এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে এক হয়ে বলত “কোটার মাধ্যমে আমাদের সন্তানদের চাকরি দেওয়াটাই আমাদের সম্মান দেয়া নয়” । তাহলে সহজেই এর সমাধান বের করা যেত।

চলমান পরিস্থিতির কারণে মানুষের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি  অসম্মান জন্ম নিয়েছে । যা কখনোই কাম্য নয় । যেই মুক্তিযোদ্ধারা  একসময় দেশের জন্য সর্বত্র ত্যাগ করেছে আজ তারা ভোগ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে কি আসলেই মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছে? মুক্তিযুদ্ধের  চেতনা লোপ পেয়ে এখন কি তাদের ভোগের চেতনা জাগ্রত হয়েছে?

 

 

 

কোটা আন্দোলনের সর্বশেষ আপডেট জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন । পড়াশোনা বিষয়ক বিভিন্ন টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসতে পারেন। আপনাদের উপস্থিতি আমাদের একান্ত কাম্য  

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker