কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে? এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যা HSC 2024
কোয়ান্টাম বলবিদ্যা পরমাণু মডেলের পূর্ণতা লাভের মূল চাবিকাঠি । আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা কোয়ান্টাম বলবিদ্যা এবং কোয়ান্টাম সংখ্যা সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন । কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে কত প্রকার এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যা পরমাণু মডেল বা আধুনিক পরমাণু মডেলের ভিত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে ।
কোয়ান্টাম বলবিদ্যা পরমাণু মডেল বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড, নীলস বোর, ডি ব্রগলি, স্রোডিঞ্জার এবং হাইজেনবার্গের মতবাদের উপর নির্ভর করে সাজানো হয়েছে ।
কোয়ান্টাম সংখ্যা সমূহ এবং বিভিন্ন উপশক্তিস্তর ও ইলেকট্রন এর ধারণক্ষমতা
কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে:
যে সংখ্যার মাধ্যমে পরমাণুর ইলেকট্রনের শক্তি স্তরের আকার বা শক্তিস্তরে আকৃতি ও কক্ষপথের ত্রিমাত্রিক দিক বিন্যাস প্রকাশ পায় তাকে কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে ।
কোয়ান্টাম সংখ্যা মোট চার প্রকার-
- প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা ।
- সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা ।
- চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা ।
- ঘূর্ণন কোয়ান্টাম সংখ্যা ।
প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে ?
প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা:-
যে কোয়ান্টাম সংখ্যা পরমাণুর অরবিট বা শক্তি স্তরের আকার প্রকাশ করে তাকে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যাকে “n” দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।
ব্যাখ্যা- মূলত প্রধান কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা “n” দ্বারা এবং ইলেকট্রনের নির্দিষ্ট শক্তিস্তরে থাকা অবস্থায় ইলেকট্রনের শক্তি ও নিউক্লিয়াস থেকে দূরত্বকে বোঝায় । n=1 হলে প্রথম শক্তি স্তর বা K অরবিট, n=2 হলে দ্বিতীয় শক্তি স্তর বা L অরবিট, n= 3 হলে তৃতীয় শক্তি স্তর বা M অরবিট অনুরূপভাবে n=4 হলে দ্বিতীয় শক্তি স্তর বা N অরবিট । বিজ্ঞানী নীলস বোর প্রধান কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা সম্পর্কে সর্বপ্রথম ব্যাখ্যা দেন ।
সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে ?
সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা:-
একটি ইলেকট্রন প্রধান শক্তি স্তরের কোন উপশক্তিস্তরে রয়েছে তা প্রকাশ করার জন্য সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা ব্যবহার করা । হয় অর্থাৎ যে কোয়ান্টাম সংখ্যার মাধ্যমে কোন ইলেকট্রনের উপশক্তিস্তর নির্ণয় করা হয় তাকে সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে ।
ব্যাখ্যা- সহকারী কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যাকে “l “ দ্বারা প্রকাশ করা হয় । “l “ এর মান দ্বারা একটি ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগ বের করা যায় । এর মান “0” থেকে সর্বোচ্চ (n-1) পর্যন্ত হয় । উপশক্তিস্তরের আকার কিরকম হবে সেটি “l “ এর মানের উপর নির্ভর করে । “l “ এর মান যদি 0 ,1, 2, 3, 4 হয় তবে উপশক্তিস্তরকে s, p, d, f দ্বারা চিহ্নিত করা হয় । প্রধান কোয়ান্টাম “n” সংখ্যা এবং সহকারী কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার “l “ মানের উপর নির্ভর করে উপশক্তিস্তর বা অরবিটালে পরমাণু অবস্থান করে । বিজ্ঞানী সমারফিল্ড সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা সম্পর্কে সর্বপ্রথম ব্যাখ্যা দেন । নিচে প্রধান এবং সহকারী কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার উদাহরণ দেয়া হলো-
- প্রধান শক্তিস্তর, n=1 হলে l = 0 সুতরাং, প্রথম শক্তিস্তরে উপশক্তিস্তর সংখ্যা একটি
- প্রধান শক্তিস্তর, n=1 হলে l = 0 সুতরাং, দ্বিতীয় শক্তিস্তরে উপশক্তিস্তর সংখ্যা দুটি
- প্রধান শক্তিস্তর, n=1 হলে l = 0 সুতরাং, তৃতীয় শক্তিস্তরে উপশক্তিস্তর সংখ্যা তিনটি
- প্রধান শক্তিস্তর, n=1 হলে l = 0 সুতরাং, চতুর্থ শক্তিস্তরে উপশক্তিস্তর সংখ্যা চারটি
উপশক্তিস্তর গুলোর নামকরণ কিভাবে হলো?
গ্রুপ এক এর ক্ষার ধাতুসমূহের পারমাণবিক বর্ণালীতে আট শ্রেণীর রেখা বর্ণালী দেখা যায় বিজ্ঞানীরা প্রাথমিক অবস্থায় তাদেরকে তীক্ষ্ণ বা sharp (s), প্রধান বা principal (p), পরিব্যপ্ত বা diffused (d) ও মৌলিক বা fundamental (f) নামকরণ করে যথাক্রমে s, p, d, f প্রতীক দ্বারা এদের জন্য l এর মান 0, 1, 2, 3 নির্দিষ্ট করে ।
চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে ?
চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা:-
পরমাণুর কেন্দ্রে ধনাত্মক চার্জযুক্ত নিউক্লিয়াস ও কক্ষপথে ঋণাত্মক চার্জ যুক্ত ইলেকট্রন থাকার কারণে পরমাণুর ভেতর একটি বিদ্যুৎ ক্ষেত্র এবং এর প্রভাবে চুম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয় । এ চুম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে ইলেকট্রনের বিভিন্ন অরবিটালের ত্রিমাত্রিক দিক স্থিতি ও ওরিয়েন্টেশন ঘটে । বিজ্ঞানী জিম্যান চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যার ধারণা দেন । একে ‘m’ দ্বারা প্রকাশ করা হয় ‘m’ এর মান ‘l ‘ এর উপর নির্ভর করে । এবং তা ‘+l ‘ থেকে শূন্য সহ ‘-l ‘ পর্যন্ত হতে পারে । প্রতি ‘l ‘ এর যেকোনো মানের জন্য ‘m’ এর (2l+1) সংখ্যক মান আছে । ‘m’ এর মোট মান দ্বারা উপশক্তিস্তরের মোট অরবিটাল সংখ্যা বোঝায় ।
- উপশক্তিস্তর, s এর জন্য l=0; m=0 সুতরাং, s উপশক্তিস্তরে একটি অরবিটাল ।
- উপশক্তিস্তর, p এর জন্য l=1; m= -1 ,0, +2 সুতরাং, p উপশক্তিস্তরে তিনটি অরবিটাল ।
- উপশক্তিস্তর, d এর জন্য l=2; m=-1, -2, 0, +1, +2 সুতরাং, d উপশক্তিস্তরে পাঁচটি অরবিটাল ।
- উপশক্তিস্তর, f এর জন্য l=3; m= -1, -2, -3, 0, +1, +2, +3 সুতরাং, f উপশক্তিস্তরে সাতটি অরবিটাল ।
অধিক জেনে নাও-
- কোন উপশক্তিস্তরে মোট অরবিটাল সংখ্যা = (2l+1), এখানে l= 0, 1, 2, 3 ইত্যাদি ।
- কোন উপশক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা = 2(2l+1), এখানে l= 0, 1, 2, 3 ইত্যাদি ।
ঘূর্ণন কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে?
ঘূর্ণন কোয়ান্টাম সংখ্যা:-
ইলেকট্রনের স্পিন বর্ণনার জন্য যে কোয়ান্টাম সংখ্যা ব্যবহৃত হয় একে স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে ।
ব্যাখ্যা- প্রতিটি ইলেকট্রন সর্বদা নিজ অক্ষের চারদিকে ঘূর্ণন বা স্পিন গতি থাকে অক্ষ বরাবর ঘুরতে প্রতিটি ইলেকট্রন নিজের কক্ষপথে আবর্তন করে থাকে ঘূর্ণন বা স্পিন গতির কারণে প্রতিটি ইলেকট্রন একটি অতি ক্ষুদ্র চুম্বক রূপে মৃদু চুম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি করে এটাই ঘূর্ণন কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা । ঘূর্ণন কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার প্রতীক ‘s’ । ইলেকট্রনের ঘূর্ণনের দিক ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরবে নাকি ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরবে এটি স্পিন কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার মাধ্যমে বের করা সম্ভব । বিজ্ঞানী উলেন বেগ ও গুল্ড স্মিথ ঘূর্ণন কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার আবিষ্কারক ।
Parapraph “A Tea Stall” for SSC, HSC, JSC পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অধিক জেনে নাও (For Advanced Student)
চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার সাথে পারমাণবিক বর্ণালী:-
বিজ্ঞানী স্রোডিঞ্জার তরঙ্গ সমীকরণ এর গাণিতিক ব্যাখ্যা ভিত্তিক ‘অরবিটাল কোয়ান্টাম সংখ্যা’ ‘n, l, m’ পারস্পারিক সম্পর্ক ভিত্তিক মান থেকে প্রতিটি শক্তিস্তরে সর্বাধিক অরবিটাল সংখ্যা গণনা ও পাউলির বর্জন নীতি সমন্বয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত ইলেকট্রন বিন্যাস দ্বারা পারমাণবিক বর্ণালী রেখার সুন্দর ব্যাখ্যা মিলে তা তার নিচে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:-
- বোর মডেল মতে, উদ্দীপিত ইলেকট্রন উচ্চ শক্তি স্তর থেকে নিম্ন শক্তিস্তরে লাফিয়ে ফেরার সময় বিকীর্ণ শক্তি থেকে রেখা বর্ণালী সৃষ্টি হয় এক্ষেত্রে পরমাণুর শক্তিস্তর নির্দেশক প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা ‘n’ জড়িত ।
- আবার, উদ্দীপিত ইলেকট্রন থেকে বিকীর্ণ শক্তিকে spectrometer বা বর্ণালী বীক্ষণ যন্ত্রে বিশ্লেষণ করলে পূর্বের রেখা বর্ণালী টি বিশ্লেষিত হয়ে ক্ষেত্র বিশেষ দুই বা ততোধিক সূক্ষ্ম রেখা বর্ণালীতে পরিণত হয় যা পরমাণুর উপশক্তি স্তর ‘(l)’ সংশ্লিষ্ট ‘s, p, d’ অরবিটাল বিন্যাসকে বোঝায় ।
- আবার ওই বিকীর্ণ শক্তিকে spectrometer দ্বারা সূক্ষ্ম রেখায় বিশ্লেষণের পর চুম্বক ক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হলে তখন পূর্বের উপশক্তিস্তর সংশ্লিষ্ট সূক্ষ্ম রেখা বর্ণালী গুলো বিজোড় সংখ্যায় (1, 3, 5) বিভাজিত হয়ে সূক্ষ্মতর রেখা বর্ণালী সৃষ্টি করে যা চুম্বক কোয়ান্টাম সংখ্যা এর সম্ভাব্য মান সংশ্লিষ্ট মোট ত্রিমাত্রিক অরবিটাল সংখ্যাকে বোঝায় ।
- এভাবে সৃষ্ট অরবিটাল সংশ্লিষ্ট সূক্ষ্মতার রেখা বর্ণালীকে অধিকতর শক্তিশালী চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা বিশ্লেষিত করা হলে তখন প্রতিটি সূক্ষ্মতর রেখা দুটি সমান অংশে পৃথক হয়ে পড়ে যা ইলেকট্রনের স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা ‘s’ সংশ্লিষ্ট দুটি চুম্বক ধর্মী ইলেকট্রনের বিপরীত স্পিনকে বোঝায় ।
( উপরে কোয়ান্টাম বলবিদ্যা পরমাণু মডেলের, কোয়ান্টাম সংখ্যার চারটি প্রকার প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা, সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা, চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা, এবং ঘূর্ণন কোয়ান্টাম সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে । কোয়ান্টাম বলবিদ্যা এবং কোয়ান্টাম সংখ্যার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে নিচে পড়ুন)
Cick helre to read Quantum Number for English Medium or English Version School Students
চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার তাৎপর্য:-
কোয়ান্টাম বলবিদ্যা পরমাণু মডেল অনুসারে পরমাণুতে নির্দিষ্ট শক্তিস্তর বা অরবিটে আবর্তনশীল প্রতিটি ইলেকট্রনের শক্তি অবস্থান ও বৈশিষ্ট্যের প্রকাশের জন্য পরস্পর সম্পর্কযুক্ত চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার নির্দিষ্ট মান প্রয়োজন হয় ।
- প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রতীক ও মান ।
- সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রতীক ও মান ।
- চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রতীক ও মান ।
- স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রতীক ও মান ।
চারটি প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রতীক ও মান নিচে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা করা হলো,
প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রতীক ও মান:- প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রতীক হলো “n” এবং “n= 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7 পর্যন্ত ধরা হয় । বৈশিষ্ট্য “n” এর মান দ্বারা অরবিট বা শক্তি স্তরের আকার সম্বন্ধে জানা যায় এক ইলেকট্রন পরমাণুর ।
সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রতীক ও মান:– সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রতীক হলো ‘l ‘ এবং “l = 0 থেকে (n-1)” মান ধরা হয় । বৈশিষ্ট্য বহু ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণুর বেলায় প্রযোজ্য শক্তি স্তরের আকৃতি বোঝানোর জন্য ‘l ‘ এর মান ব্যবহার করা হয় এক্ষেত্রে ‘l ‘= 0, 1, 2, 3 যথাক্রমে উপশক্তিস্তর “s, p, d, f” ধরা হয় উপশক্তিস্তরের সংখ্যা “n” এর মানের সমান হয় । “s” উপশক্তিস্তর হলো গোলক আকার “p” উপশক্তিস্তর ডাম্বেল আকার এবং “d” উপশক্তিস্তর ডাবল ডাম্বেল আকার হয় ।
প্রয়োজনীয়তা: এ সহকারী কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা ‘l ‘ এর প্রয়োজন হয় পরমাণুর বর্ণালীতে সৃষ্ট সূক্ষ্ম রেখার উৎপত্তি বোঝানোর জন্য ।
চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রতীক ও মান:-
চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রতীক হলো “m” এবং ‘ + l ‘ থেকে শূন্য সহ ‘- l ‘ সমান ধরা হয় । বৈশিষ্ট্য উপশক্তিস্তরের ত্রিমাত্রিক বিন্যস্ত “s, p, d, f” অরবিটালের সংখ্যা গণনা করার জন্য “m” এর মান ব্যবহৃত হয় ।
প্রয়োজনীয়তা:চুম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে রেখা বর্ণালী সূক্ষ্ম রেখায় বিভক্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যার জন্য চুম্বকীয় কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার প্রয়োজন হয় ।
স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রতীক ও মান:-
স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রতীক হলো “s” এবং প্রতিটি “m” এর মানের জন্য “s = +1/2 ও -1/2” দুটি করে মান হয় । এদের বিপরীত স্পিন বোঝাতে ঊর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী তীর চিহ্ন ব্যবহৃত হয় । বৈশিষ্ট্য স্পিন কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা ইলেকট্রনের নিজস্ব অক্ষ বরাবর ঘূর্ণন প্রকাশক রাশি ।
প্রয়োজনীয়তা:- পরমাণুর ইলেকট্রন এর চুম্বক ধর্ম ব্যাখ্যা করার জন্য ইলেকট্রনের স্পিন কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা প্রয়োজন হয় ।
কোয়ান্টম বিদ্যা :
কোন পরমাণুর শক্তি অনুসারে একটি কোয়ান্টাম সেট। চারটি কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা দ্বারা কোন পরমাণুর যেকোনো নির্দিষ্ট ইলেকট্রনের কোয়ান্টাম দশা নির্দিষ্ট করা হয়ে থাকে । এটাকেই তরঙ্গ ফাংশন বলা হয় বা অরবিটাল বলা হয়।
আমরা জানি, পাওলির বর্জন নীতি অনুসারে কোন পরমাণুর দুটি ইলেকট্রনের চারটি কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা কখনো সমান হয় না। তিনটি কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার মান সর্বস্ব সমান হতে পারে অর্থাৎ তিনটি কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার মান সমান হলেও একটির মান ভিন্ন হবে । এবং এই তিনটি কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা যেগুলো সমান হবে তারা পরস্পর সম্পর্কিত ভাবে প্রকাশ পায় । তরঙ্গ সমীকরণের যে বৃদ্ধি অংশ আছে এই বৃত্তীয় অংশের সমাধান করলে প্রধান কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা পাওয়া যায় ।
কোয়ান্টাম বলবিদ্যার ব্যাখ্যা :-
অনেক ছোট বস্তু সম্পর্কিত বিজ্ঞান হলো কোয়ান্টাম বলো বিদ্যা। যেকোনো বস্তুর আচরণ এবং একটি বস্তুর সাথে অন্য একটি বস্তুর পারস্পরিক ক্রিয়া পরিমাপের জন্য এই বলবিদ্যা প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলোর মাধ্যম পরিবর্তন হয় যেমন কোন কোন ক্ষেত্রে আলঙ্গ তরঙ্গ মাধ্যমে হিসেবে কাজ করে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে আলো কনা হিসেবে কাজ করে । মহাবিশ্বের উপাদানসমূহ যা কনা এবং ইলেকট্রনের সমন্বয় গঠিত তারাও বিশেষ ক্ষেত্রে তরঙ্গ নেয় আচরণ প্রকাশ করে। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে শুধুমাত্র নিয়ন লাইট নির্দিষ্ট পরিমাণে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য উৎপন্ন করে থাকে। সহজ করে বলতে গেলে কোয়ান্টাম বলো বিদ্যা কঠিন কিছুই নয় । কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা এবং যাবতীয় বিষয় এ বলবিদ্যার আওতায় অবস্থান করে।
বর্তমান সময়ের বোর্ড পরীক্ষাগুলোতে এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । বিশেষ করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য এ বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং রসায়ন প্রথম পত্রের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ভালো প্রস্তুতি নেয়ার জন্য এ বিষয়টি খুব ভালো করে পড়তে হবে। কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সকল বিষয় নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে আশা করা যায় উপরের সকল বিষয়ে আপনি ভালোভাবে পড়ে থাকলে কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সকল ধরনের সমস্যা আপনার সমাধান হয়ে যাবে এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যা থেকে বোর্ড পরীক্ষায় যে ধরনের প্রশ্ন আসে সেগুলো নিয়ে নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।
কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিচে দেওয়া হলো:-
1. প্রধান কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার আবিষ্কারক কে?
উত্তর: প্রধান কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার আবিষ্কারক বিজ্ঞানী নীলস বোর ।
2. সহকারী কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার আবিষ্কারক কে?
উত্তর: প্রধান কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার আবিষ্কারক সমারফিল্ড ।
3. চুম্বকীয় কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার আবিষ্কারক কে?
উত্তর: প্রধান কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার আবিষ্কারক বিজ্ঞানী জিম্যান ।
4. ঘূর্ণন কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার আবিষ্কারক কে?
উত্তর: প্রধান কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার আবিষ্কারক বিজ্ঞানী উলেন বেগ ও গুল্ড স্মিথ ।
5. প্রধান কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর:যে কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা পরমাণুর অরবিট বা শক্তি স্তরের আকার প্রকাশ করে তাকে প্রধান কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা বলে ।
6. সহকারী কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর: একটি ইলেকট্রন প্রধান শক্তি স্তরের কোন উপশক্তিস্তরে রয়েছে তা প্রকাশ করার জন্য সহকারী কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা ব্যবহার করা । হয় অর্থাৎ যে কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার মাধ্যমে কোন ইলেকট্রনের উপশক্তিস্তর নির্ণয় করা হয় তাকে সহকারী কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা বলে ।
7. চুম্বকীয় কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর: পরমাণুর কেন্দ্রে ধনাত্মক চার্জযুক্ত নিউক্লিয়াস ও কক্ষপথে ঋণাত্মক চার্জ যুক্ত ইলেকট্রন থাকার কারণে পরমাণুর ভেতর একটি বিদ্যুৎ ক্ষেত্র এবং এর প্রভাবে চুম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয় । এ চুম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে ইলেকট্রনের বিভিন্ন অরবিটালের ত্রিমাত্রিক দিক স্থিতি ও ওরিয়েন্টেশন ঘটে তাকে চুম্বকীয় কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা বলে ।
8. ঘূর্ণন কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা বা স্পিন কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর: ইলেকট্রনের স্পিন বর্ণনার জন্য যে কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা ব্যবহৃত হয় একে ঘূর্ণন কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা বা স্পিন কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা বলে ।
9. কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা কত প্রকার?
উত্তর: কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা চার প্রকার?
10. চারটি কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার নাম লেখ?
উত্তর: চারটি কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যার নাম নিচে দেয়া হলো:-
- প্রধান কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা ।
- সহকারী কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা ।
- চুম্বকীয় কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা ।
- স্পিন কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা বা ঘূর্ণন কোয়ান্টাম (Quantum Number) সংখ্যা ।
শেষ কথা আমাদের আর্টিকেলগুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন এবং আপনার একটি মূল্যবান মতামত অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। এবং আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট এ জানাবেন, অথবা আমাদের মেইল করতে পারেন অথবা আমাদের ফেসবুক পেইজ আছে মেসেজ দিলে খুব দ্রুত আপনাদের সাথে যোগাযোগ করা হবে।আর কোন টপিকের জন্য আর্টিকেল চাইলে আপনারা আমাদেরকে রিকোয়েস্ট করতে পারেন আমরা ওই অনুযায়ী একটি আর্টিকেল দিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ।
আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ |